বলে রাখি - এ গল্পে বেড়ানো কম
একদম এক শুধু নিজের জন্য কখনো বেড়াতে বেড়াই নি. নিজে দেখবো বলে বেরোনো তো হয়ই নি.
এই রকম একটা সময়ে, সমস্ত ভয়-সংকোচ পেরিয়ে ভাবলাম প্রথম বার কাছে ও কিছুক্ষনের জন্য যাই কোথাও. গাড়ির চাকার কাছে আছে চাম্পানের, সেখানেই গেলাম.
আছে সেখানে রাজা-মহারাজাদের বানানো মসজিদ, দুর্গ......দুর্গ মসজিদ. সেই একই সব তবু যাবো, বাড়িতে একা পরে পচবো না.
চাম্পানের অঞ্চল এ অনেক পুরাতত্ত্ব আছে, তার মধ্যে জামি মসজিদ ও সেহরি মসজিদ বেশ নামি, kintu এবারে বাকি গল্প চলবে ছবির সঙ্গে সঙ্গে.... ছবি হয়তো সব সময় সত্যি বলবে না, আসলে ছবি কখনোই সত্যি বলে না, কারণ ছবি তো পুরো টা বলে না
যেহেতু এই ছোট্ট বেড়ানো হয়ে দাঁড়ালো নিজের ভেতরে এ বেড়ানো তাই ছবি গুলো আমার কোথায় বলবে বেশি
রূপকথার শুরু, মায়ের কাছে গল্প শোনা জামি মসজিদে
নিবেদন সে কি ধর্ম মানে? আবেদন শুধু প্রভু কে চেনে,
যার থাকা না থাকার প্রমান নাই তার ভরে জোর খাটাই
অপূর্ব কারিগরি দেখে মনে হয় মিস্ত্রি গুলো তাদের ভালোবাসা এই পাথরেই লিখে গেছে
জামি মসজিদের ভেতরে, প্রার্থনা ঘর ও তিন প্রাণী
আমার সময় যায়নি সারাবেলায় যেমন ভালো সময় দাঁড়ায় কোনো প্রার্থনা ঘরে
বিশ্বাস এর নিবেদন ভোলায় সারাদিনের ক্লান্তি
সে নিস্তব্ধতায় কত স্বীকারোক্তি কত বিচার, আর্তি
জামি মসজিদ এর দেওয়াল ও মাঠ, যে মাঠ পেরোলেই আজকের বাস্তব
আর এক ভবঘুরে হয়তো
কপোত কপোতী তাদের নির্জনতার খোঁজে
স্থানীয় মানুষ ও তার একাকিত্বের কাজ
ছাঁদ এ বাঁধা জামি মসজিদ
জানলার গল্প, আলস্য দুপুরের কল্প
আলো ছায়া
জানলার গল্প, আলস্য দুপুরের কল্প
জামি মসজিদ ঘুরে বেড়াতে গিয়ে জানলাম অল্প দূরে কেওড়া মসজিদ আছে, সেটাও নাকি সুন্দর. গাড়ি যাবেনা, প্রায় জঙ্গুলে রাস্তা, হাঁটা ছাড়া পথ এই. খিদে পেটে দিলাম পাড়ি. জঙ্গল এর ভেতর এ গাড়ি সমস্ত কাঁটাগাছ বাঁচিয়ে রাখতে বেশ সময় আরো গেলো. কিছুটা হেঁটে কিছু খেত আর কাঁটাঝোপ পাশে রেখে যে মসজিদ এ পৌছালাম সেখানকার পাহারাদার ছাড়া আর কিছুই তেমন ভালো লাগলো না. আগের জন্মে man-eater ছিলাম মনে হয়. সেই মসজিদ খোলা মাঠ এ বড়োই একা, আর সাজসজ্জা হীন. বড়োই বেমানান ইতিহাস এর পক্ষেও. তও মুখ রক্ষার্থে ঘুরে নিলাম মসজিদ এর প্রার্থনা স্থান, নির্জন, শান্ত বাদুড় চামচিকের গন্ধ মাখা এক তেমাথা বুড়োর মতো একলা. ফেরার সময় পাহারাদার এর সঙ্গে আলাপ জমালাম...অন্যায়াস এ সে বললো বোরে তো হয়, কি করবো মসজিদ এ একটা সাপ ঢুকে বসে আছে তাই বাইরে বসে আছি!!!
পাহারাদার বললো সত্যিকারের ভালো মসজিদ দেখবে তো নাগিনা মসজিদ যাও. কিভাবে যাবো? সহজ জবাব, আর ১ কিমি হাঁটলেই পেয়ে যাবে. লোভ বারো বাজে জিনিস, দিলাম হাটা.
সে মসজিদ একদম ই জঙ্গল এর ভেতরে, অনেক জায়গা নিয়ে, কিন্তু তার দেয়াল এখনো পুরোনো দিনের গল্প বলছে. আলাপ হলো পাহারাদার সঙ্গে, সে আমায় ছাদ এ যেতে দিলো, কেউ আসে না আবার এখনো স্যাপ তেমন ছড়ায় নি, তাই নিশ্চিন্তে যেতে বললো.
Comments
Post a Comment