রাস্তা তখন সুনসান, আমি এক দীর্ঘ রাস্তার শুরুতে, রাস্তা জুড়ে আলোর মালা সাজানো, পুস্কর এ দীপাবলি। আকাশ ঠান্ডা কালো, শুধু কিছু বাদুড় উড়ে বেড়াচ্ছে একটা বোট গাছের আশেপাশে। কিছুটা দূরে দুপাশে কিছু কুকুর খিদে ভুলে থাকার জন্য ঘুমানোর চেষ্টা করছে, তার আর একটু পরেই কিছু বয়স্ক মহিলারা জোট হয়ে দাড়ি। অনুমান করলাম তারাও হবেন চান করতে। রাস্তার শেষ এ আসবে দীঘি, জানি, তার থেকে দেন দিকে গেলে ব্রহ্মা মন্দির এর পথ ধরবো।গতকাল এর ভিড় ভিড়াক্কা পথ এখন প্রায় নির্জন, কিছু পুণ্যকাঙ্খী আবার আর একটা জায়গায় জোট পাকিয়ে, তাদের কে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গেলাম। সমস্ত দোকান বন্ধ, তাদের রোলার শাটার গুলো রাস্তার আলো ধরা-ছাড়া নিয়ে মেতে নানান চেহারা তৈরী করছে। এগিয়ে গেলাম, এক স্বামী-স্ত্রী, বেশ বয়স্ক, দেখি এক মন্দির এর ঢোকার মুখে বসে আছে। রাস্তার আলোর মালা গেরুয়া, তাদের ডজনের সাদাটে সাদামাটা জামাকাপড় ভীষণ ঘরোয়া ওই রাস্তার সঙ্গে। আমিও চুপ করে বসলাম তাদের একটু পেছনে। এক লোভী গরু অনেক আশা নিয়ে এলো মহিলার দিকে, যদি কিছু রুটি পাওয়া যায়, সাধারণত তো পায় সে। ওই অনুপ্রবেশ সহ্য হলো না তাদের, ভদ্রলোক উঠে দাঁড়ালেন, গরুটা কে আড়াল করে, বৌ যা...