দানবের মতো দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে পরের বাসটা বিরতি নিলো যখন, চরৈবেতি ততক্ষনে একটা ফাঁকা বেঞ্চে গুটিশুঁটি মেরে বসেছে। রাত এখন এমন যে দিন হবেই বলে কোনো কথা দেয়া যায়না, এমনই সে অন্ধকার ও চুপচাপ। বোধহয় আর বাস আসবে না শিগগিরই, অটো ওয়ালা গুলো বাস স্ট্যান্ড ছেড়ে বাইরে চলে গেলো। বাস এ ঘুম হয়নি ভালো, বসে ঝাকুনি তাও সওয়া যায়, শুয়ে ঝাঁকালে ঘুমানো যায়না, ভাবছে সে তাই এভাবেই বসে একটু ঘুমিয়ে নেবে নাকি। নাকি নিজেকে দেওয়া কথা সেটা নিজেই রাখবে, ভেবেছিলো ভোর রাত এর রূপ দেখবে, যখন বাকি সবাই জানে মানুষ গুলো এখনই উঠবে না, তখন রাস্তা, গাছ, পাখি, আকাশ এরা কি করে, সেটা দেখবে বলে নিজেকে নিজে কথা দিয়েছিলো। মান্ডভী আগে একবার এসেছে সে, এবার এ আসার কারণ পুরোনো মান্ডভী কে দেখবে চরৈবেতি, যে শুধু সমুদ্রতীর এর এক শহর নয়। যেখানে গত ৪০০ বছর ধরে জাহাজ বানানো হয় যা কিনা ইংল্যান্ড পর্যন্ত কিনে নিয়ে যেত, সেই শহর। সে কি এখন ইতিহাস মাত্র? অ্যাসবেসটস এর ছাউনির তলায় কংক্রিট এর বেঞ্চ ও ticket counter নিয়ে বাস স্ট্যান্ড, সামনে কটি বাস দাঁড়িয়ে, তার পেছনে পুরোটাই অন্ধকার। অ্যাসবেসটস ধরে রাখার স্টিল কাঠামো তে বসে অসংখ্য শালিখ পাখ...
For us who walk life with photons and frames and compositions....and creativity.