Skip to main content

আমার কলকাতায় আমার দেখা, পর্ব ১ -

#my kolkata, #Kolkata street, #Howrah bridge, #B/W street and life

চৈতালি মিতালি হাততালি......
আমাদের তিন বান্ধবী।
প্রবীণা সিনেমার পাশে ছিল এক বিশাল নোংরা ফেলার মাঠ, তখন কলকাতায় ছিল হেলা ফেলায় পরে থাকা প্রচুর মাঠ, আর সেই বিশাল মাঠের পেছনে ছিল এক তিন তলা বাড়ি যার ছাদ এ আসতো বিকেলে সেই তিন জন, আমাদের নিত্য আড্ডার অন্যতম বিষয়, চৈতালি. মিতালি ও হাততালি. তাদের সঙ্গে আলাপ তো দূরের কথা, হাত দশেক এর মধ্যে সামনাসামনি হওয়ার ও ইচ্ছে হলোনা তখন কখনো, বরঞ্চ নানান কল্পনার রসদ করে তাদের রাখতেই আমাদের আনন্দ বেশি! আধো অন্ধকার এর কলকাতায়, আমরা ছিলাম তিন কল্পনার রাজকুমার, জল্পনার জমিদার! এর বেশি কিছু না।
সেই আধো অন্ধকার সন্ধ্যে, শাঁখ এর শব্দে গড়িয়ে যাওয়া রাতে আমরা তিন জন বুঁদ হয়ে শুষে নিতাম আমাদের শহর টাকে নিজেদের ভেতর এ. তখন কলকাতা ছিল আমাদের একমাত্র প্রেমিকা।
অমন প্রেমিকার থেকে আমি দূরে সরে আছি প্রায় তিন দশক! ঘটনা চক্রে. গত বছর ফিরেছিলাম প্রায় ৬ মাসের জন্য, চাকরি ছেড়ে, চাকরির খোঁজে।
এ গল্প সেই প্রবাসীর "কেন দেখি নাই ফিরে"-র! বলা যায় প্রবাসীর আক্ষেপনামা...
সেই ছয় মাস এ নানান সময়ে, নানান ভাবে আমাদের কলকাতা ও এখনকার কলকাতা কে দেখেছি পিছন ফিরে যেই চেয়েছি, সেই প্রেমিকা চিবুক টেনে তার নতুন রূপ দেখিয়েছে, ঘন নীল আগত সন্ধ্যের আগ্রহ নিয়ে জেনেছে আমি এখনো কি তাকে ভালোবাসি...তেমনি?
সে গল্পছবি, ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল নানান ছবি তে, কিছু ছিল মনে আমার ও কিছু ছিল সেই প্রেমিক জমিদার এর কাছে!
এবার এ আসি আপনাদের আমার সঙ্গে এই বেড়ানোর কথায়, এ বেড়ানো হবে ছবিতে ও কথায় পাশাপাশি...তাই অনুরোধ ছবির পাশে লেখা গুলো পরে নিতে, অ্যালবাম এর পাতা উল্টোনোর মতো পরের ছবি তে যাবেন, কথা ও ছবি দুটোই পড়ে দেখবেন।
ও.. আর একটি কথা...আমার ধারণা, ছবি আর শুধু প্রমান পত্র নয়, সে রীতিমতো এক সৃষ্টি, তাই বেশির ভাগ ছবি কেই আঁকার মতো কোনো সৃষ্টি ভেবে আপনার কল্পনা দিয়ে তাকে সামনে ধরে দেখুন..অনেক ছবি তাই যখন কনটেন্ট মেনে ঝাপসা বা আবছা তখন তা প্রামাণ্যমূলক দ্বিমাত্রিক এক কাগজ মাত্র নয় ...আবার খুব স্পষ্ট কোনো ছবি একেবারেই গোড়া সত্যি নয়, এমন হলে কেমন হতো মাপ এর গল্প হয়তো.....
রইলো সবার মাঝে এই প্রবাসীর "কেন দেখি নাই ফিরে" .... প্রেমিকারে
পর্ব ১ -

আগে বুঝিনি, এখন দেখলাম, প্রেমিকা কলকাতা ও বসে থাকতো আমার অপেক্ষায় উদগ্রীব. 
আমাদের প্রেম এ ছটফট কই মাছ এর গাছ এ উঠে পড়ার সময়ে কোনো প্রেমিকা কে অপেক্ষায় রাখার সাহস ছিল না, এখন দেখে ভালো লাগলো প্রেমিক এর দেরিতে নাচ এর প্রোগ্র্যাম দেখতে আসা টাও সম্ভব.

বলে রাখা ভালো, এই ভদ্রমহিলা কে আমি চিনিনা, জানিনা, ওনার কাছে ছবি তোলার অনুমতি চাও হয় নি, উনি কারোর প্রেমিকা এমন দাবি ও আমি করিনা. ছবিটি এমন সুন্দর তৈরী হলো মুহূর্তে ও শেষ হলো তার ও আগে যে তাকে কথা দিয়ে বোঝানোর ইচ্ছেই আর হয়নি. ভরসা রাখি উনি এ ছবি দেখলে রাগবেন না বা আমায় কোর্ট এ টেনে নিতে যাবেন না. আর মনেও নেই সত্যি উনি কারোর অপেক্ষায় ছিলেন কি না.


চৈতালি মিতালি হাততালি পেরিয়ে আমরা আরো দূর এ গেছিলাম, বন্ধুত্বের রাস্তায়, যেখান থেকে পেছন ফিরলে শুধুই বন্ধুত্ব দেখা যেত ততটা দূর! 
আজ তাই হটাৎ করে তিন চরিত্রের এক ই রাস্তায় যাওয়া, সেই কয়লার গুলি ভরা উনুন এর ধোঁয়া, আমাদের বিড়ির লাল জোনাকি ঘেরা চরৈবেতি আড্ডা, জমাট বাঁধা ল্যাম্পপোস্ট পেরোনো অন্ধকার এ হোঁচট খাওয়া শাপশাপান্ত সব ফিরে এলো. দেওয়ালে রাখি হাত, যেন আমার ই সেই গলি এ কলকাতার অন্য প্রান্তেও এখনো আছে. কলকাতা আমার এখনো আমায় বুকে নিতে বিছিয়ে রয়েছে মাইল কে মাইল.


মনে মনে এমন অনেক খালি চেয়ার রেখেছি নিজের বানানো নাটক এ, বসিয়েছি আমার কলকাতা কে, লড়েছি সমস্ত অবাঙালি দের সাথে যারা কলকাতা নিয়ে বিন্দুমাত্র বলেছে কেউ কথা।
এক অনুষ্ঠান এ তেমন ই এক খালি চেয়ার অপেক্ষায় রাখা সভাপতির , দেখে মনে হলো নাম লেখা টা কি কলকাতার?




পুজোর ছুটি তে কখনোই আসা হতো না কলকাতায়, বাঙালি ছাড়া ও বাংলা ছাড়া আর কোথাও যে সরকারি ছুটি দূর্গা পুজো তে হয় না এটা ছিলনা জানা, আসতাম তাই দিওয়ালির অজুহাত এ কালীপুজোর বকলম এ ভাইফোঁটা তে.
কাশফুল তাই আপন মন এ মিশিয়ে যেত মাটিতে যখন আমি ফিরতাম কলকাতায়, সামান্য কদিন এর জন্য.
কাশফুল তাই থাকতো শুধু মন এ আর মন খারাপ করা পথের পাঁচালিতে

ট্রেন এ বোম্বে তে টিকেট কাটতাম জেনারেল এর, আর কুলি কে দিতাম ৫০ টাকা, সে মাল রাখার বাংক এ সোজা হয়ে আগামী ২৬ ঘন্টা বসে থাকার জায়গা দিতো, ভাই ফোঁটার ঠিক তিন বা চার দিন আগে ....
শেষের দশ ঘন্টায় পা সরাতে পারতাম, তারপর অপেক্ষা, কখন পাবো হাওড়া ব্রিজ এর দেখা ...

Comments

Popular posts from this blog

Kolkata-25-Jan

   

Roof-top picnic

 

Kaas plateau - impossibly natural

You are lucky if you stay near Satara. If not, pack your camera, reach Kasara or Pune to reach this place. You will be welcome by a patient nature who did impossibly natural beauties there. We had hard time trying close our jaws and keeping our eyes open. Kaas is a flower land, a plateu full of varieties of flowers. They grow naturally, they live for a short time, like any other beauties. And the place keep on bringing new varieties within days. It all happens in June to October beginning, depending on temperature, humidity of the time. Lets stop talking or reading, start seeing the faint tr that me could through a mere light sealed box and lenses.