Skip to main content

আমার কলকাতায় আমার দেখা, পর্ব ৪ -

কবিগুরু বলেছিলেন (শোনা বা পড়া) চোখ আর কান এর মধ্যে কাউকে ছাড়তে হলে উনি চোখ ছাড়বেন, রাখবেন কান. অমন বেরাকু লোক হয়েও বলেছিলেন কি করে কে জানেবাপু, তবে যেহেতু কলকাতার আওয়াজ এখানে দিতে পারছিনা তাই তার আবহাওয়াটা বোঝানোর জন্যে আগে দুকথা বলে নেই।

সকালে যাদের দেরিতে ওঠার অভ্যেস, আমাদের এলাকায় সকাল ৬টার সময় বিছানায় সে ধড়ফড়িয়ে উঠতে পারে এই ভেবে যে চম্বলের এক ডাকাতকে ধরতে এসেছে পুলিশ বাহিনী কারণ এলাকায় তখন জমাদার রা সব রাস্তা জুড়ে হুইসিল বাজিয়ে সবাইকে ময়লা নিয়ে নামতে বলছে, সে এক ধুন্দুমার কান্ড. সেটা শেষ হতে না হতেই প্রচুর বকা মাছওয়ালা দের, এমন ভাবে মাআআছ বলে চেঁচাবে যেন না নিলে চরম অপরাধ হবে। তার পর শুরু হবে ফল বেচা দাদুর দোর্দণ্ডপ্রতাপ, এই করতে করতে দুপুর এলো কি কুআআআআলিটি বলে icecream এর গাড়ি যাবে. সন্ধ্যে হবে শাঁখের ডাকে তার একটু পরে...

পর্ব ৪ -

দেখার কোনো শেষ নেই বলেই বেড়াই, হাঁটতে চলতে রোজকার চলাও হয়ে যায় বেড়ানোই, সেই বেড়ানোই বলে চলেছি এখন ইস্তক।

হাঁটতে চলতে হোঁচট খাওয়ার মতো দাঁড়িয়ে পড়ি, আগে বৌ ভাবতো পুরোনো প্রেমিকা দেখেছি, এখন আর পাত্তা দেয়না, জানে কোন প্রেমিকা, আমি সেই ফাঁকে ছবি তুলি, বা শুধু দেখেই চেটেপুটে নেই সময় টাকে, কখনো বা মেয়েলি চোখে আরো গভীর কিছু দেখায় জীবনসঙ্গিনী, আমি হাঁ করে গিলি।

ছবির সঙ্গে কথা জুড়েছি ছবির পাশেই, তা কারোর দেখা কে সীমিত করার জন্য নয়, নানান স্বাদ পাবার জন্য, তাই যখন আপনারা আপনাদের পাওয়া আস্বাদ ফিরিয়ে দেন আপনাদের লেখায়, আমার মনে হয় তখন ছবি সার্থক, কারণ সে যে লেখার থেকেও বেশি বলে।

গোপনে বলি, ছবি এতদিন এ আঁকার চেয়েও বেশি বলে (কখনো কখনো), যেমন বলে নাটক বেশি সিনেমার চেয়ে, কারণ বাস্তব কে কল্পনার স্রোতে টানে ছবি, আঁকা সেদিক এ পা মাড়ালে তার বিপদ, ছবি তাই বাস্তব অবাস্তব এর প্রেম-দাপট-চাতুরী খেলে অনায়াসে...

এ পর্ব অনেক বড়ো হবে বাকি সব পর্বের চেয়ে, শেষ করার আগের দীর্ঘনিশ্বাস এর মতো, অনেক দিন এর কিচ্ছা সফল হলে যেমন ভালো সময় তা বেরিয়ে যায় হাতছাড়া হয়ে, তেমন।








 মহীরুহ ও তার ভালোবাসা 
এ গাছটি আছে চিন্তামণি কর বাগানে, এর আশেপাশে থাকলেই সমস্ত দাদু দিদার ও তাদের রূপকথা গুলো মনে পরে.

 কলকাতায় সবচেয়ে উঁচু বাড়িটা ছিল মনে হয় চ্যাটার্জী ইন্টারন্যাশনাল, এ ছবিতে যে ডানদিকের খুদে বাড়িটি। এবারে দেখি তাকে হাঁটুর তলায় রেখে বেড়ে চলেছে আর একটি তালগাছ.
তেমনি কলকাতা বাড়ছে তালেবরে ও উপরমহলে, সেই বাড়তে থাকা কলকাতা জখমী ও, ভ্যানভানে মাছি উড়ছে তার পেটের ক্ষতের চারপাশে, তার পুরোনো, ছোটবেলার কলকাতায় রয়েছে সনে, একটু সরে, দূরে...

সেও ভীত,
আমারি মতো
 সেইন্ট জন চার্চ, জব চার্ণক এর সমাধি আছে, মনে হয় সেই সমাধি আজকের কলকাতায় সবচেয়ে পুরোনো বাড়ি.

 আশাগ্রাহী







 যেদিন শুনেছি গাধা নাকি পোষ মানেনা, সেদিন থেকে সে আমার প্রিয় প্রাণী. এক দিকের দুই পায়ে দড়ি লাগিয়ে দে তাকে, তবুও সে দৌড়াতে চেষ্টা করেই যায়....

তবুও তাকেই বাহন করার কেন শখ কোনো দেবীর তা জানিনা, তবে সেই জিজ্ঞাসা আমি দেখলাম এই গাধার চোখে, আর এক গাধার ই শুধু চোখে পড়েছে হয়তো, আর দেবী চেষ্টা করছেন বোঝার যে আমি দোয়া কিছু বুঝেছি কি না.


 জানিনা কেন এই পা ভাঙা বেচারা ঘোড়াগুলো দেখি আপ্রাণ চেষ্টা করছে দৌড়ানোর, তাদের মুখ রক্তের দাগ, চাবুক বা দড়ির টান.
রাজার চেয়ার গেছে ভেঙে, তাও সে সঙ্গী বৃত্তাকার রেস এ 

কলকাতায় অনেক স্থায়ী মনুষ্যত্ব ছিল দেখার মতো, বাঁচার মতোই তারাও পাল্টেছে একদিনের মুনাফা লুটতে
হয়তো প্রবাসীদের মা রা মনেমনে এভাবে বসে থাকেন, আবার আসিবে সে ফিরে....

সকালবেলা ইনি এভাবেই অপেক্ষা করেন কি রোজ?
হয়তো দুধ দিয়ে যায় কেউ, হয়তো বা মেয়ে ফেরে বাজার করে, নিত্যকার একই বাজার এ চমক আসার আশে সে বসে থাকা
আমি দেখি দূর থেকে আরো কত প্রাণের হাপুস নয়ান হাসি
গলিতে পরে থাকা ওটা কি রক্ত, একাত্তর কি ফিরে এলো?
নাকি এটা অমুক পাড়ার তমুক বৌদির রান্নাঘর এর উত্তক্ত হয়ে যাওয়া ঠান্ডা চা 

এমন গলি চমকে ওঠে আমার স্বপ্নে, 
দুটি ছেলে কেন জমে আছে বাঁক শেষের মুখে?
মানুষ ছাড়া আল্লার কোনো দলিল নাই

আসল নকল ভুলে রূপ ভরসায় বিশ্বাস পাই


বামুন হলাম আমি, 
একটি নয়গো দুটি টিকির
গোলামী

 রাত হয়েছে অনেক

 গল্পের চরৈবেতি স্বপ্ন 
কলকাতা কে পেয়েছি এখনো

 মেয়ে এখনো ফেরেনি

 পুজো আসছে 
এটা যেন কিভাবে নিজে নিজেই জেনে যাই..
আর কলকাতা সেটা চারিদিক থেকে জানান দেয়
রূপে রসে ছলে বলে, 
আকাশ বাতাসে

 মাছের দোকান টা পাশেই

যেমন মদের ঠেকে এ সব ধর্মই এক


 পুজো এসে গেছে 
এটা বোধয় চতুর্থী তে তোলা

 হংসেশ্বরী মন্দির

 বাবা ও পিসি

পুজোর ভিড় এ একটি মেয়ে 
বাবার কোলে ভিড় বেয়ে

 College street হিজিবিজবিজ









Comments

Popular posts from this blog

Kolkata-25-Jan

   

Chennai light and colours

Chennai Love, light, speed, system and love with respect.  Freedom with responsibility.  Colours with fresh air and wonderful morning light.  

Roof-top picnic