Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2019

আমার কলকাতায় আমার দেখা, পর্ব ৪ -

কবিগুরু বলেছিলেন (শোনা বা পড়া) চোখ আর কান এর মধ্যে কাউকে ছাড়তে হলে উনি চোখ ছাড়বেন, রাখবেন কান. অমন বেরাকু লোক হয়েও বলেছিলেন কি করে কে জানেবাপু, তবে যেহেতু কলকাতার আওয়াজ এখানে দিতে পারছিনা তাই তার আবহাওয়াটা বোঝানোর জন্যে আগে দুকথা বলে নেই। সকালে যাদের দেরিতে ওঠার অভ্যেস, আমাদের এলাকায় সকাল ৬টার সময় বিছানায় সে ধড়ফড়িয়ে উঠতে পারে এই ভেবে যে চম্বলের এক ডাকাতকে ধরতে এসেছে পুলিশ বাহিনী কারণ এলাকায় তখন জমাদার রা সব রাস্তা জুড়ে হুইসিল বাজিয়ে সবাইকে ময়লা নিয়ে নামতে বলছে, সে এক ধুন্দুমার কান্ড. সেটা শেষ হতে না হতেই প্রচুর বকা মাছওয়ালা দের, এমন ভাবে মাআআছ বলে চেঁচাবে যেন না নিলে চরম অপরাধ হবে। তার পর শুরু হবে ফল বেচা দাদুর দোর্দণ্ডপ্রতাপ, এই করতে করতে দুপুর এলো কি কুআআআআলিটি বলে icecream এর গাড়ি যাবে. সন্ধ্যে হবে শাঁখের ডাকে তার একটু পরে... পর্ব ৪ - দেখার কোনো শেষ নেই বলেই বেড়াই, হাঁটতে চলতে রোজকার চলাও হয়ে যায় বেড়ানোই, সেই বেড়ানোই বলে চলেছি এখন ইস্তক। হাঁটতে চলতে হোঁচট খাওয়ার মতো দাঁড়িয়ে পড়ি, আগে বৌ ভাবতো পুরোনো প্রেমিকা দেখেছি, এখন আর পাত্তা দেয়না, জানে কোন প্রেমিকা, আমি সেই ফ

আমার কলকাতায় আমার দেখা, পর্ব ৩ -

"অনিমেষ, তোমার শার্ট এর ওপর গাছের থেকে নোংরা পড়েছে, বৃষ্টির জলের সঙ্গে এসেছে মনে হয়..." - এই বলে মাধবীলতা হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে গেলো সুতোর মতো চেহারার অনেক গুলো কিছু, অনিমেষের তখন জবজবে অবস্থা, মাধবীলতা কে একটু কম ভেজা জায়গায় দঁড়াতে দিয়েছে, নিজের ভিজতে বেজায় ভালো লাগছে. মাধবীলতার আঙ্গুল গুলো অনিমেষের বুকের শার্ট এ গিয়ে চমকে ফিরে এলো, ওগুলো নোংরা নয়, অনিমেষের যুবক পৌরুষত্ব, ভেজা কাঁঠাল চাঁপা হলুদ পাঞ্জাবি ভিজে তারা ফুটে উঠেছে. পর্ব ৩ - এমনটি সমরেশ বাবু লেখেন নি কিন্তু আমি নিশ্চিত তারা আমাদের দক্ষিণ লেক এ এসেছিলো, কোনো একদিন ভিজে এরকম ই চমকেছিলো মাধবীলতা. যাদের দুজন কে আমি বারংবার দেখতে পাই কলকাতা জুড়ে, যখন ই যাই. বৃষ্টি, কলকাতার এক সম্পদ, যখন থাকতাম তখন বুঝিনি, এখন মনে হয় কলকাতার বৃষ্টি কলকাতার নিজের আবেগ, বাড়ি-ঘরদোর-গলি-ঘুঁজি ভালোবাসা ঝগড়া গুলো মানুষের ব্যবহার....বৃষ্টি কলকাতার আবেগের প্রকাশ. ছোট বয়স এ বৃষ্টি পেয়েছি মাটির কাছাকাছি, ফুটবল খেলে, কাবাডি তে কাদা মেখে. মাঝারি বয়স এ পেয়েছি মাথা তুলে আকাশ দেখে, কলকাতায় তখন বাড়ি ছিল কম, উঁচু বাড়ি আরো দুরস্ত. তও আমি

আমার কলকাতায় আমার দেখা, পর্ব ২ ....

পর্ব ২ .... যখন মার হাত ধরে মামার বাড়ি গেছি, তখন মা কে অটো রিকশা ওয়ালা দের জুলুম সহ্য করতে হতোনা, থাকতো হাত বাড়ালেই হাত এ টানা, পায়ে চলা রিকশা. মামা বাড়ি ছিলো বড়ো রাস্তা থেকে প্রায় 2km ভেতর এ, সঙ্গে টাকা থাকতো, কিন্তু সেটা বাঁচানোর ইচ্ছে থাকতো আরো বেশি,মনে আছে তখন অবাক হয়ে ভাবতাম রিকশা ওয়ালা গুলো ওই ইয়াব্বড় রিকশা টেনেও আমাদের থেকে আগে কি করে পৌঁছে যেত...ইচ্ছে হতো দৌড়ে ওদের কে হারাতে, কিন্তু মার আঙ্গুল ছাড়া বারণ ওই ভিড় রাস্তায়. তারপর এলো আমাদের পাড়ায় সাইকেল রিকশা, আরো তাড়াতাড়ি যায়. আমাদের দিকে, মানে দক্ষিণ কলকাতায় হাত টানা রিকশা ছিল বারণ, ওই আঙ্গুল এ লাগানো ঘন্টির আওয়াজ ছিল মধুর, আর রাস্তায় তখন এত বিরক্ত হওয়া অহংকারী হর্ন বাজতো না, তাই ওই ঘন্টি শুনতে পেতো ট্যাক্সিওয়ালারাও. খাবার সময় পেরিয়ে বাড়ি যাবার মদ্দে ছিল নিয়ম ভাঙার আনন্দ, আর আড্ডা তা কে টেনে টেনে নিজের জগৎ এ থাকার প্রচন্ড ইচ্ছে, তাই প্রায়শই চরৈবেতি পৰ বেড়ানো আড্ডা শেষ হতো দক্ষিণ কলকাতার কোনো এক মোড় এ, যেখান থেকে রিকশা পাওয়া যায়. বাকি রাস্তা তা দারুন আড্ডা হতো সেই রিকশা বলার সাথে. একবার এক রিকশাওয়ালা কে অনেক খান দেয়ার কর